,

ভিটামিন ই পাবেন যেসব খাবারে

সময় ডেস্ক : ভিটামিন ই ফ্যাটে দ্রবণীয় একটি ভিটামিন। অন্যান্য ভিটামিনের মতো এই ভিটামিনেরও কিছু উপকারিতা আছে । অনেকে ত্বক বা চুলের যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খান। এছাড়া এই ভিটামিন থেকে আরও যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-
পেশিশক্তি জোগায় : ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করলে পেশির ক্ষয় হয়। পেশিকে সুস্থ সবল অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে ভিটামিন ই।
মানসিক চাপ কমায় : শরীরের জন্য অন্যতম শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হল ভিটামিন ই। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতেও সাহায্য করে ভিটামিন ই।
ফ্যাটি লিভার রোগ প্রতিরোধ : যারা ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য ভিটামিন ই বেশ কার্যক। এটি নিয়ম করে খেলে রক্তের লিপিড মাত্রা কমে। যা লিভারকে ভালো রাখে।
কোলেস্টেরল কমায় : কোলেস্টেরলের সঙ্গে লড়াই করে ভিটামিন ই-এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ। এটি রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল অর্থাৎ এলডিএল-এর পরিমাণ কমিয়ে দেয়।
রক্তচাপ কমাতে উপকারী : একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে ভিটামিন ই। এটি রক্তের সিস্টোলিক প্রেশারকে কমায়। তবে ডায়াস্টোলিক প্রেশারকে কমাতে পারে না।
হার্টের জন্য উপকারী : হার্টের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এই ভিটামিন। খারাপ কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্টকে ভালো রাখে ভিটামিন ই।
ত্বকের জন্য উপকারী : একজিমা জাতীয় চর্মরোগে ভিটামিন ই বেশ উপকারী। এটি চর্মরোগের লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করে।
চুলের জন্য উপকারী : নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে ভিটামিন ই। এটি মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায়। একই সঙ্গে চুল বড় করতে সাহায্য করে।
কিছু নির্দিষ্ট অ্যাজমার সমস্যা কমায় : ভিটামিন ই কিছু নির্দিষ্ট অ্যাজমার সমস্যা কমাতে বেশ কার্যকরী। এটি ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
বিভিন্ন খাবার থেকে ভিটামিন ই পাওয়া যায়। যেমন- আমন্ড ও নানা ধরনের বাদাম, কলা, আপেল, আম, কিউয়ি, বিটের শাক, পালং শাক, কুমড়ো, সূর্যমুখী বীজ সয়াবিন তেল, সানফ্লাওয়ার তেল ইত্যাদি।


     এই বিভাগের আরো খবর